11
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাট জোহরান মামদানি। নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হলেন তিনি।
অ্যান্ড্রু কুমো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ফলাফলের পরপর তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া তৃতীয় হয়েছেন। তিনি বলেন, আমি তাকে শুভকামনা জানাই।
তবে সতর্ক করে কার্টিস বলেন, “যদি তুমি সমাজতন্ত্র চাপিয়ে দিতে চাও, যদি পুলিশের শক্তি দুর্বল করতে চাও, আমরা সংগঠিত হব এবং আন্দোলনে নামব।”
ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে মামদানি এখন ওই সংগঠনের সবচেয়ে উচ্চপদস্থ নির্বাচিত কর্মকর্তা হবেন।
তিনি তার প্রচারে জীবিকার ব্যয় সংকট ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা জোরদারে জোর দেন। এই খাতে অর্থ যোগাতে তিনি ধনী ও করপোরেটদের ওপর কর বাড়ানোর প্রস্তাব দেন।
৩৪ বছর বয়সী এই ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট ৫০ শতাংশ ভোট পেয়ে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে (৪১ শতাংশ) পরাজিত করেছেন। মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) রাত সাড়ে ৯টার কিছু পরেই যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থা এপি মামদানির বিজয়ের খবর প্রচার করে।
আগামী ১ জানুয়ারি মামদানি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। মঙ্গলবার রাতে ব্রুকলিনে অনুষ্ঠিত তার বিজয়োৎসবে শত শত সমর্থক ‘জোহরান! জোহরান! জোহরান!’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন।
এই নির্বাচনে প্রায় ২০ লাখ নিউইয়র্কবাসী ভোট দিয়েছেন—যা ১৯৬৯ সালের পর সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি।
মামদানির এই বিজয় শহরের সবচেয়ে প্রাণবন্ত ও আলোচিত মেয়র নির্বাচনের সমাপ্তি টেনেছে। এতে ডেমোক্র্যাট পার্টির বাম ঘরানা একটি বড় সাফল্য পেয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রগতিশীলদের জন্য নতুন কৌশল দেখিয়েছে।
তবে তার এই সাফল্যে মধ্যপন্থি ডেমোক্র্যাটরা উদ্বিগ্ন। তাদের আশঙ্কা—মামদানির নীতিগুলো শহরে আর্থিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তা সংকট সৃষ্টি করতে পারে। আবার ইসরায়েল বিষয়ে তার মন্তব্য ও ফিলিস্তিনের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন কিছু সমালোচকের মতে ইহুদি-বিরোধী মনোভাব বাড়াতে পারে।