সন্দেশবিডি ডট কম
কয়েক সপ্তাহ ধরে শারীরিক অব্স্থা নিয়ে চলা তীব্র জল্পনা কল্পনার পর অবশেষে পাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী
ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি পেয়েছে তার পরিবার। দুর্নীতির মামলায় রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী
ইমরানের সঙ্গে তার বোন ডা. উজমা খানকে সাক্ষাতের অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার।
২ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতাদের বরাত দিয়ে
দেশটির সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কারাবন্দী ইমরান খানের সঙ্গে
তার বোন উজমা খানের সাক্ষাতের অনুমতি মিলেছে।
৭২ বছর বয়সী ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন। রাষ্ট্রীয় কোষাগার তোশাখানা থেকে সরকারি
উপহার বেআইনিভাবে বিক্রির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ইমরান খানের বিরুদ্ধে প্রথম সাজা ঘোষণা করা হয়।
পরবর্তীতে কূটনৈতিক নথি ফাঁসের অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং আল-কাদির ট্রাস্ট সংক্রান্ত পৃথক দুর্নীতির মামলায়
১৪ বছরের সাজা। প্রসিকিউটরদের দাবি, এই ট্রাস্টের নাম ব্যবহার করে অবৈধভাবে ভূমি বরাদ্দ নিয়েছেন ইমরান খান।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) বলছে, এসব মামলা তাকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার উদ্দেশ্যে
করা হয়েছে। গত মাসে ইমরান খানের তিন বোন নোরীন নিয়াজি, আলিমা খান এবং উজমা খান ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে
চাওয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
এরপরই ইমরান খানের শারীরিক অবস্থা নিয়ে দলের নেতাকর্মী ও পরিবারের সদস্যদের উদ্বেগ তৈরি হয়। এমনকি দেশটির
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইমরান খান কারাগারে মারা গেছেন বলে গুজবও ছড়িয়ে পড়ে এবং তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে
পড়লে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দিতে পারে আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষ তা গোপন করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে।
এদিকে, এ নিয়ে পাকিস্তান সরকার ও কারাগার কর্তৃপক্ষের ওপর তুমুল চাপ তৈরি হয়েছে। ইমরান খানের জীবিত থাকার
প্রমাণদেখাতে সরকার গড়িমসি বলেও অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। যদিও কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, ইমরান খান
সুস্থ আছেন এবং কারাগারে তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গত রোববার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক দল
পিটিআইয়ের সিনেটর খুররম জিশানের এক মন্তব্যে সরকারের ওপর আরও তীব্র চাপ তৈরি হয়।
মঙ্গলবার তার বোনকে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়ার আগে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতাকর্মীরা ইসলামাবাদ
হাইকোর্টের সামনে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা দেশটিতে ন্যায়বিচার ও রাজনৈতিক সংস্কারের দাবি জানান। যদিও এই
ধরনের বিক্ষোভ ঠেকাতে পাকিস্তানের সরকার বড় সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

