বাংলাদেশের নতুন সচেতন ছড়াধারা

মোঃ মেহেদী হাসান রকি

by sondeshbd.com
130 views

শিশুসাহিত্য হলো একটি জাতির মনস্তাত্তি¦ক ভিত্তির বীজতলা। সহজ ভাষা, ছন্দ ও প্রতীকের মাধ্যমে এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিন্তাধারা, মূল্যবোধ এবং আত্মপরিচয়কে সবচেয়ে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। বাংলাদেশে ছড়াসাহিত্য ঐতিহাসিকভাবেই গণজাগরণের একটি শক্তিশালী মাধ্যম হলেও, দীর্ঘদিন ধরে তা রাজনৈতিক প্রোগ্রামিং এবং সাংস্কৃতিক অনুপ্রবেশের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, শিশুদের মনকে আরোপিত ন্যারেটিভের প্রভাব থেকে মুক্ত করে সত্য, ঈমান ও স্বাধীন চিন্তার ওপর প্রতিষ্ঠা করার তাগিদ থেকে জন্ম নিয়েছে এক প্রতি-আদর্শিক ও সংস্কৃতি-সচেতন সাহিত্য আন্দোলনের ধারণা যা ‘নতুন সচেতন ছড়াধারা” নামে পরিচিতি লাভ করবে।বাংলাদেশের নতুন সচেতন ছড়াধারা: চেতনার পুনর্দখল ও প্রতিরোধী সাহিত্য
ভূমিকা
বাংলাদেশের ছড়া সাহিত্য দীর্ঘদিন ধরে শিশুমনের প্রথম শিক্ষাগুরু হিসেবে কাজ করছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো এই সাহিত্য কি সত্যিই শিশুদের মুক্ত, স্বতন্ত্র ও সত্যনিষ্ঠ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলছে, নাকি নিঃশব্দে একটি প্রজন্মের চিন্তা, বিশ্বাস ও আত্মপরিচয়কে ‘প্রোগ্রামড’ করে দিচ্ছে? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের ছড়ার ইতিহাসের গভীরে প্রবেশ করতে হয়। কারণ, ছড়া কখনোই কেবল ছন্দ নয় বরং এটি একটি জাতির মানসিক ভূগোল (মাইন্ড ম্যাপ), যার ভেতর লুকিয়ে থাকে সংস্কৃতি, রাজনীতি ও চেতনার নির্মাণ-প্রক্রিয়া।শিশুসাহিত্য হলো একটি জাতির আত্মিক শক্তির কাঁচামাল এবং মনস্তাত্ত্বিক ভিত্তির বীজতলা। যে ছন্দ, যে ভাষা আর যে গল্পে শিশুর জগৎ নির্মিত হয়, তা-ই নির্ধারণ করে তার ভবিষ্যৎ বিশ্বাস ও জীবনবোধ। দীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশের ছড়াসাহিত্য একদিকে যেমন গণজাগরণের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, তেমনি অন্যদিকে এর ভেতরে বিদেশি, রাজনৈতিক বা আদর্শিক ন্যারেটিভের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই অনুপ্রবেশের ফলে শিশুদের মনে আত্মপরিচয়ের সংকট, বিকৃত ইতিহাস এবং প্রশ্নহীন আনুগত্যের বীজ বপন হয়েছে বলে আমি মনে করি। এই প্রেক্ষাপটে, শিশুদের মনকে মিথ্যা ও নিয়ন্ত্রিত ন্যারেটিভের প্রভাব থেকে মুক্ত করে সত্য, ঈমান ও স্বাধীন চিন্তার ওপর প্রতিষ্ঠা করার তাগিদ থেকে জন্ম নিয়েছে ‘বাংলাদেশের নতুন সচেতন ছড়াধারা’ নামক প্রতি-আদর্শিক সাহিত্য আন্দোলনের ধারণা।প্রচলিত ন্যারেটিভের সংকট: কেন এই আন্দোলন?
ছড়ায় লুকানো ন্যারেটিভ ও শিশুমনের প্রোগ্রামিং
বাংলাদেশের শিশুসাহিত্যে, বিশেষত ছড়ায়, বহু দশক ধরে সূক্ষ্মভাবে কিছু ন্যারেটিভ অনুপ্রবেশ করানো হয়েছে। এই ন্যারেটিভগুলোকে প্রথম দেখায় “দেশপ্রেম” বা “আধুনিকতা”র ছদ্মবেশে নির্দোষ মনে হলেও, আসলে এগুলোর ভেতরে ছিল চারটি গভীর প্রভাব:

১.ইতিহাস বিকৃতি ও জাতিগত হীনমন্যতা:

মুক্তিযুদ্ধের মতো সংবেদনশীল বিষয়কে একমুখী রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করে শিশুদের মধ্যে বিভক্ত আত্মপরিচয় সৃষ্টি করা হয়েছে। এখানে ইসলামি পরিচিতি বা ঐতিহ্যের দিকটিকে দুর্বল বা হীন করে দেখানোর প্রবণতা কাজ করেছে বলে মনে করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে একমুখী রাজনৈতিক ব্যাখ্যায় রূপ দেওয়া হয়, যেখানে ভারতের ভূমিকাকে মুক্তির দেবতার মতো আর ইসলাম বা পাকিস্তান-সংশ্লিষ্ট যে কোনো শব্দকে অন্ধকারের প্রতীক হিসেবে দেখানো হয়।
এর ফলে শিশুমনে একধরনের আত্মপরিচয়ের সংকট তৈরি হয়। সে জানে না সে কে, কোথা থেকে এসেছে, আর তার আসল শিকড় কোথায়।

২. ইসলাম ও বিশ্বাসবিরোধী উপপাঠ :
ধর্মীয় চরিত্র, আলেম বা নামাজি (প্যাকটিসিং মুসলিম) মানুষকে হাসির পাত্র বানানো হয়।
শিশুর অবচেতনে ধর্ম মানেই অপ্রয়োজনীয় বিষয় এমন ভাব জন্ম দেয়। এটি ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধের প্রতি অবিশ্বাস ও বিরূপতা সৃষ্টি করে।
ধর্মীয় ও নৈতিক চরিত্রগুলোকে (যেমন: মোল্লা, পীর) ব্যঙ্গাত্মকভাবে উপস্থাপন করে শিশুদের অবচেতন মনে ইসলামি মূল্যবোধকে অপ্রাসঙ্গিক বা অসামাজিক হিসেবে প্রতিস্থাপন করা।

৩. ভারতীয় সাংস্কৃতিক আধিপত্য ও ভাষার প্রলেপ:
ছড়ার ভেতরে হিন্দু পুরাণ, পৌরাণিক দেবদেবী বা ভারতীয় সাংস্কৃতিক শব্দভান্ডারকে ‘আধুনিক বাংলা সংস্কৃতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে সাংস্কৃতিক উপনিবেশ তৈরি করা। এর ফলে শিশুদের মনোজগতে ভারতীয় প্রভাব সমান সমান আধুনিকতা, এমন একটি ভুল ধারণা গেঁথে দেওয়া হয়েছে।
ফলে শিশুর মনে “ভারতীয় প্রভাব সমান সমান আধুনিকতা” এই সমীকরণ স্থায়ী হয়ে যায়।
এভাবেই এক নিঃশব্দ প্রক্রিয়ায় শিশুমনকে প্রস্তুত করা হয়েছে এমন এক “সোশ্যাল প্রোগ্রামিং” এর জন্য, যেখানে সে সত্য নয়, বরং গৃহীত বয়ানের প্রতি অনুগত হয়ে বড় হয়।

৪. রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ:
ছড়াকে শাসকগোষ্ঠীর প্রতীক ও দলীয় স্লোগানের বাহক করে শিশুদের মনকে প্রশ্নহীন ও আনুগত্যভিত্তিক করে তোলা।
এই অনুপ্রবেশের ফলে ছড়া তার মৌলিক কাজ, অর্থাৎ আনন্দদানের পাশাপাশি নৈতিক চরিত্র গঠনের ভূমিকা থেকে সরে গিয়ে রাজনৈতিক প্রচারপত্রের চরিত্র ধারণ করেছে।
আজকের ছড়ার অবস্থা: নিরপেক্ষতার ভ্রম, অনেকে বলেন, “ছড়া রাজনীতি বোঝে না; ছড়া শুধু আনন্দ শেখায়।” কিন্তু বাস্তবতা হলো “ছড়া নিরপেক্ষ নয়, ছড়ার মধ্যেই রাজনীতি নিহিত থাকে।”আনুমানিক ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ছড়া সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কোনো রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিক নির্দেশনা বহন করে।
মাত্র ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ছড়া অরাজনৈতিক বা খাঁটি শিক্ষামূলক। অন্যদিকে ৫ থেকে ১০ শতাংশ ছড়াই সত্যিকারের মানবিক ও স্বাধীন চিন্তার ধারক। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ ছড়া নিরপেক্ষতার মুখোশে পরিচালিত হচ্ছে একধরনের মানসিক উপনিবেশ স্থাপনের লক্ষ্যে।

আন্দোলনের দার্শনিক ভিত্তি: চেতনার পুনর্দখল
নতুন সচেতন ছড়াধারার মূল দর্শন হলো- ছড়াকে চেতনার পুনর্দখলের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা। এই আন্দোলন চারটি মৌলিক স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত:
১। সত্য ও চিন্তার স্বাধীনতা: এই আন্দোলনের মূল ভিত্তি হলো শিশুদের প্রশ্ন করার স্বাধীনতা শেখানো। ছড়াকারদের কাজ হলো শিশুদের মনে “কেন?” “কে বলেছে?” বা “সত্যি?”-এর মতো অনুসন্ধিৎসু বীজ বপন করা। কারণ প্রশ্নবিহীন মন হলো প্রোগ্রামিংয়ের সবচেয়ে সহজ শিকার।
২। ঈমান ও আত্মপরিচয়: ছড়ার মাধ্যমে শিশুর মনে ‘আমি মুসলমান, আমি বাঙালি, আমি মানুষ’-এই তিন পরিচিতির সমন্বয়ে একীভূত আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা। ইসলামি মূল্যবোধ (যেমন: ন্যায়, পরিশ্রম, দয়া, স্রষ্টার প্রতি ভালোবাসা) হবে তার মনস্তত্ত্বের নৈতিক ভিত। সকল ধর্মীয় মূল্যবোধ এতে একিভূত হওয়ার জায়গা পাবে।
৩। শিকড়ের প্রতি অনুরাগ: মাটির গন্ধ, গ্রাম, নদী, প্রকৃতি এবং আধ্যাত্মিক শিকড়, ঐতিহ্য- এইসব দেশীয় উপাদান হবে ছড়ার মূল চিত্রভাষা।
৪। প্রতিরোধী সাহিত্য: মিথ্যা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোমল অথচ দৃঢ় ভাষায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা, যাতে ছড়া শিশুদের সাহস ও আত্মমর্যাদার মন্ত্র শেখাতে পারে।ভাষা ও নন্দনশৈলী
এই নতুন ধারার ছড়ায় থাকবে সহজ, দেশীয় ও নির্মল ভাষা-যেখানে ছন্দ হবে অর্থবহ, প্রতীক হবে চিন্তাশীল, আর হাস্যরস হবে পবিত্র ও শিক্ষণীয়। এখানে শব্দের ব্যবহার হবে অস্ত্রের মতো-তবে সেই অস্ত্র হবে জ্ঞান, ঈমান ও বিবেকের।
ছড়াকারদের দায়িত্ব
১. ছড়াকার হবেন একাধারে সাহিত্যিক ও সমাজবোধসম্পন্ন চিন্তার শ্রমিক।
২. তাঁর কলম হবে সত্যের পক্ষে ও মিথ্যার বিরুদ্ধে।
৩. তিনি শিশুমনে রাজনৈতিক আনুগত্য নয়, চিন্তার স্বাধীনতা গড়ে তুলবেন।
৪. তাঁর ছড়ায় থাকবে নরম ছন্দে কঠিন বার্তা-যা হাসির আড়ালে শিশুকে চিন্তা করতে বাধ্য করবে।
এই আন্দোলন শুধুমাত্র বিষয়বস্তু পরিবর্তন নয়, বরং ছড়ার ভাষা ও নন্দনতত্ত্বের পরিশুদ্ধতা দাবি করে।
ক্ষেত্র নীতি এবং কৌশল
ভাষা ও ছন্দভাষা হবে সহজ, দেশীয় ও শুদ্ধ, শহুরে কৃত্রিমতা বা বিজাতীয় সাংস্কৃতিক ছাপমুক্ত। ছন্দ হবে সুরেলা কিন্তু অর্থবহ, যা ভাব ও চেতনাকে একযোগে বহন করবে।
প্রতীক ও রূপক আলো, শিশির, আকাশ, নদী, মাটি-এর মতো চিরায়ত প্রতীকের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক ইঙ্গিত দেওয়া। প্রতীক হবে মাটির, যার গভীরে থাকবে প্রাকৃতিক সত্য।
হাস্যরস হাস্যরস থাকবে, তবে তা হবে পবিত্র ও চিন্তাশীল, যা কাউকে হেয় না করে বরং চিন্তা জাগানো এবং অসঙ্গতি তুলে ধরার মাধ্যম হবে।
ছড়াকারের কর্তব্য ছড়াকার কখনো শিশুদের মনকে রাজনৈতিক আনুগত্যের বাহক বানাবেন না। ছড়ার প্রতিটি শব্দ হবে সচেতনভাবে বাছাই করা সত্যের অস্ত্র, যা শিশুদের মনকে বিকৃত ন্যারেটিভের আঘাত থেকে রক্ষা করবে।
উপসংহার: আগামীর প্রত্যাশা
বাংলাদেশের আগামীর ছড়া
আগামী দিনের ছড়া হবে এমন এক সাহিত্যধারা, যা একদিকে শিশুর কল্পনাকে কলুষমুক্ত করবে, অন্যদিকে তাকে তার শিকড় ও সত্যের সঙ্গে যুক্ত করবে। এই ছড়াধারায় থাকবে
১। মিথ্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ,
২। ঈমান ও ন্যায়ের প্রতীকী ভাষা,
৩। দেশপ্রেম ও মানবতার সুর,
৪। এক নতুন বাংলাদেশী আত্মা-যে আত্মা আর দাস হবে না, চিন্তা করবে, গড়বে, নেতৃত্ব দিবে।

‘বাংলাদেশের নতুন সচেতন ছড়াধারা’ কোনো দলীয় বা খন্ডকালীন সাহিত্য উদ্যোগ নয়, বরং এটি চেতনাবোধের একটি দীর্ঘমেয়াদি সংগ্রাম। এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হলো এমন একটি ছড়া সাহিত্য সৃষ্টি করা, যা:
১। শিশুর হৃদয়ে সত্য, সাহস ও ঈমানের সমন্বয় ঘটায়।
২। পশ্চিমা/জায়ানিস্ট সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামিং ভেঙে দেয়।
৩। শিশুর মনে স্বাধীন চিন্তা ও আত্মমর্যাদার বীজ বপন করে।
এই আন্দোলনের সফলতা নির্ভর করে, কতজন ছড়াকার এই কঠিন নৈতিক দায়িত্ব গ্রহণ করে, শিশুদের মনকে মিথ্যা ও নিয়ন্ত্রিত সাহিত্য থেকে মুক্ত করে সত্য ও চেতনার উর্বর জমিতে নিয়ে আসতে পারেন। যে ছড়া শিশুর মন গড়ে, সেই ছড়ার কলমেই তৈরি হবে বাংলাদেশের নতুন, সচেতন ও স্বাধীন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
ছড়া হলো শিশুমনের প্রথম রাজনীতি, প্রথম দর্শন, প্রথম পাঠ। যদি সেই ছড়ায় সত্যের সুর অনুপস্থিত থাকে, তবে ভবিষ্যতের মানুষ হবে মিথ্যার দাস। তাই এখন সময় এসেছে ‘নতুন সচেতন ছড়াধারা’র জন্ম দেওয়ার-যেখানে শিশুর মুখে উচ্চারিত প্রতিটি শব্দ হবে আত্মমর্যাদা, ঈমান ও স্বাধীনতার সঙ্গীত। বাংলাদেশের ছড়াকে আজ ফিরতে হবে তার মূল মাটিতে-যেখানে শব্দ নয়, চিন্তাই হবে ছড়া। আর সেই ছড়া হবে সত্যের পথে, প্রজন্মের জন্য, আগামী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে।
আমি জানি অনেক ছড়াকার, কবি, গীতিকার, প্রাবন্ধিক, রাজনীতি ও সমাজ চিন্তক, সাহিত্য সমালোচক, বিভিন্ন চিন্তার, পথের, মতের, পেশার মানুষ এই চিন্তার সাথে একমত হবেন। তারা এই চিন্তার কমন এলায়েন্স (“ঈড়সসড়হ অষষরধহপব”)। যাদের কাছে এই চিন্তা মন থেকে খারাপ লাগবে, মনে প্রশ্ন উত্থাপিত হবে, তারা হবেন সমালোচক। যে কোনো চিন্তার সমালোচনা সেই চিন্তাকে ফাইন টিউনিং করতে সহায়তা করবে। তাদের প্রতি আগাম কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেষ করছি।

মোঃ মেহেদী হাসান রকি: কবি, গীতিকার, প্রাবন্ধিক, রাজনীতি ও সমাজ চিন্তক এবং সাহিত্য সমালোচক

 

আরো পড়ুন