আজ ১৪ ডিসেম্বর। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসতম ও বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের এক কালো অধ্যায়। একাত্তরে ৯ মাসের রক্তাক্ত সংগ্রামের শেষ মুহূর্তে যখন স্বাধীনতার সূর্য উদয় হতে যাচ্ছে ঠিক তখনই বিশ্ব ইতিহাসের বর্বরোচিত সেই হত্যাকাণ্ড ঘটে। মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য চক্রান্ত করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। মহান বিজয় দিবসের ঠিক দুই দিন আগে আজকের এই দিনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার এই দিনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিশেষ বাণী দিয়েছেন। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনে জাতীয় পর্যায়ে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেন, পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা হানাদার বাহিনী তাদের আত্মসমর্পণের অব্যবহিত পূর্বে জাতিকে মেধাশূন্য করার হীন উদ্দেশ্যে ঢাকাসহ সারা দেশে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। স্বাধীনতার ঊষালগ্নে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর এ ক্ষত বাংলাদেশ আজও বহন করে চলেছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তার বাণীতে বলেন, আজ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক দুঃখজনক ও কলঙ্কময় দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিনগুলোতে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। শোকাবহ এ দিনে আমি শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ মুক্তিযুদ্ধের সব বীর শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করি।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, বুদ্ধিজীবীদের হত্যা ছিল দেশকে মেধাশূন্য করার গভীর চক্রান্ত। বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যার ঘটনা আজও সারা জাতিকে বেদনাবিধুর করে। তবে তাদের রেখে যাওয়া আদর্শ অর্থাৎ জ্ঞানবিজ্ঞান, মুক্তচিন্তা, ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সম্প্রীতির চেতনা, উন্নত ও প্রগতিশীল দেশ গড়ার প্রত্যয় জাগিয়ে তোলে।

