৮ম শতাব্দের বাংলার ঐতিহাসিক দর্শণীয় স্থান: পাহাড়পুর বিহার

রেহেনা পারভিন

by sondeshbd.com
342 views

বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের নওগা জেলার বদলগাছী উপজেলায় অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন। At the 21st UNESCO General Conference held in November 1980, a resolution was adopted to take up the ruins of the Buddhist Vihara at Paharpur and the Historic Mosque City of Bagerhat, Bangladesh, as target heritage sites for the UNESCO’s international campaign to safeguard the cultural heritage. In accordance with this decision a UNESCO mission visited Bangladesh from February through March 1982 with the support of the United Nations Development Programme (UNDP) and a master plan for the conservation of both heritage sites was completed in 1983. The international safeguarding campaign officially commenced in 1985 when Paharpur Buddhist Vihara at Badalgacchi was included in the World Heritage List তার পর থেকেই বদলগাছী উপজেলা বিশ্বের দরবারে এক পরিচিত নাম। পাহাড়পুরের প্রধান মন্দির ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পরে সেই ইটের স্তুপের ধূলাবালি ও মাটি ইত্যাদি জমে কালক্রমে এক উচু পাহাড়ের সৃষ্টি করে এবং বন্য গাছপালা জন্মানোর ফলে এস্থানটি গভীর জঙ্গলে পরিণত হয়। পলিমাটির দেশ উত্তরবঙ্গের সবুজ প্রকৃতি ঘেরা সমভূমির বুকে এমনি এক জঙ্গলাকীর্ণ উচু পাহাড়ের অবস্থিতি স্বাভাবিকভাবে এক আকর্ষণীয় বৈষম্যের সৃষ্টি করে। এই উঁচু পাহাড়ের অবস্থিতির ফলেই পাহাড়পুর নামের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হয়। পাহাড়পুর প্রত্নাবশেষের সর্বপ্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় বুকানন হ্যামিল্টন সাহেবের জার্ণালে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নির্দেশক্রমে তিনি ১৮০৭ হতে ১৮১২ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে পূর্ব ভারত সফরকালে পাহাড়পুরে আসেন। তৎকালীন দিনাজপুর বিভাগের অন্তর্গত এই বিশাল ধ্বংস্তুপ তাঁকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে। গভীর জঙ্গলাচ্ছদিত ও শীর্ষদেশে এক বিরাট বটগাছ বিশিষ্ট এই খাড়া পাহাড়কে তিনি ১০০ থেকে ১৫০ ফুট উঁচু বলে বর্ণনা করেছেন। পরে ওয়েস্টম্যাকট সাহেব পাহাড়পুর পরিভ্রমণে আসেন এবং তিনিও অনুরূপভাবে এই বিশাল প্রত্নবশেষের বর্ণনা করেন। ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দে স্যার আলেকজান্ডার ক্যানিংহাম পাহাড়পুরে এসে এখানকার বিশদ বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন। তিনি কেন্দ্রীয় মন্দিরটি আশেপাশের ভূমি থেকে প্রায় ৮০ ফুট এবং মন্দির সংলগ্ন থেকে প্রায় ৭০ ফুট উঁচু বলে সঠিক অনুমান করেছিলেন। এই স্থানে ব্যাপক আকারে খননের উদ্দেশ্যে তিনি কিছু সুদক্ষ শ্রমিকও আনয়ন করেন। কিন্তু এখানকার ভূস্বামী বলিহারের জমিদারের বিরোধিতায় তাঁর এই উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়। বিষাক্ত সর্প ও হিংস্র চিতাবাঘ অধ্যুষিত সেই দুর্গম জঙ্গলের কিছু অংশ পরিষ্কার করে এবং পাহাড়ের শীর্ষদেশে একটি ছোট আকারের খনন কাজ চালিয়েই তাঁকে সন্তুষ্ট হতে হয়। এই খনন কাজের দ্বারা তিনি চারিপার্শ্বে “ প্রোজেকশান” যুক্ত প্রায় ২২ ফুট উঁচু একটি মজবুত চতুষ্কোণ কক্ষ আবিষ্কার করতে সক্ষম হন।
পাহাড়পুরের এই ধ্বংসস্তূপ ও তৎসংলগ্ন অন্যান্য প্রত্নবশেষগুলো ১৯০৪ সালের পুরাকীর্তি সংরক্ষণ আইন বলে তৎকালীন ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক ১৯১৯ সালে রক্ষিত হয়। দিঘাপতিয়ার কুমার ও রাজশাহীর বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির প্রতিষ্ঠাতা—সভাপতি শরৎ কুমার রায়ের অর্থানুকূল্যে ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগিতায় ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে পাহাড়পুরে সর্বপ্রথম খনন কাজ করা হয়। ডক্টর ডি আর ভাণ্ডারকরের নেতৃত্বে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও বরেন্দ্র রিসার্চ সোসাইটির কিছু শিক্ষানবীশ ছাত্র বিহারের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের কয়েকটি কক্ষসহ সংলগ্ন অঙ্গনের কিছু অংশে খনন কাজ করেন। তারপর বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখাল দাস বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯২৫-২৬ সালে অঙ্গনের কেন্দ্রস্থ বিশাল স্তূপের উত্তরাংশে খনন কাজ আরম্ভ করে উত্তরদিকের প্রধান সিঁড়ি, পোড়ামাটির ফলক সন্নিবেশিত দেওয়াল ও সম্মুখস্থ প্রদক্ষিণপথসহ উত্তরদিকের স্তম্ভযুক্ত হলঘর বা মণ্ডপ আবিষ্কার করেন। ফলে এই সর্বপ্রথম পাহাড়পুর মন্দিরের ভূমি পরিকল্পনা ও দেওয়াল চিত্রণ রীতির কিছুটা পরিচয় পাওয়া যায়। এরপর ১৯৩৩-৩৪ সাল পর্যন্ত প্রত্যেক বছর মি. কে এন দীক্ষিত পাহাড়পুরে খনন কাজ চালিয়ে কেন্দ্রীয় মন্দিরের ৪০০ গজ পূর্বদিকে অবস্থিত সত্যপীর ভিটা ও মন্দিরের চতুর্দিক বেষ্টিত বিহার সহ সমগ্র প্রত্নাবশেষটির আবিষ্কার কাজ শেষ করেন। তবে মাঝখানে ১৯৩০-৩১ এবং ১৯৩১-৩২ সালে মি. জি সি চন্দ্রও এখানে খনন কাজ করেন।

ঐতিহাসিক পটভূমি
বাংলাদেশে বৌদ্ধ পাল রাজবংশের প্রতিষ্ঠা লাভের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা ও বিহারে বৌদ্ধধর্ম অত্যন্ত প্রাবল্য লাভ করে। পাল রাজত্বে নির্মিত নালন্দার বিখ্যাত মহাবিহার ও পাহাড়পুরের (সোমপুর বিহার) বিশাল মন্দির ও বিহারই এর উজ্জ্বল সাক্ষ্য বহন করেছে। পাল রাজত্বের প্রথম ভাগে খ্রিষ্টীয় ৮ম শতাব্দে সম্ভবত ধর্মপাল নিজেদের পিতৃভূমি বরেন্দ্রে একটি বিশাল ও সুউচ্চ মন্দির স্থাপনের উদ্দেশ্যে সোমপুর বিহার (বর্তমান পাহাড়পুর) নির্মাণ করেন। খ্রিষ্টীয় ৭ম শতাব্দের মাঝামাঝি সময়ে বিখ্যাত চৈনিক পরিব্রাজক উয়ান-চোয়ঙ পূণ্ডবর্ধনে আসেন এবং তৎকালীন প্রসিদ্ধ বৌদ্ধ, জৈন ও ব্রাহ্মণ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে এক বিস্তৃত বিবরণ প্রদান করেন। কিন্তু অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় তার বিবরণীর কোথাও পাহাড়পুরের বিহার বা মন্দিরের কোনও উল্লেখ নেই। তাঁর ভ্রমণকালে এই মন্দির ও বিহারের কোনো অস্তিত্ব থাকলে তিনি অবশ্যই তার উল্লেখ করতেন। কাজেই মনে হয় উয়ান্-চোয়াঙের ভ্রমণকালে পাহাড়পুরে উল্লেখযোগ্য তেময় কোন বৌদ্ধ মন্দির বা বিহার ছিল না। এছাড়া বৌদ্ধ মহাযান মতবাদ খ্রিষ্টীয় ১৭শ শতাব্দ পর্যন্ত দেশে প্রচলিত ছিল এবং বিখ্যাত তিব্বতীয় ইতিহাস গ্রন্থ “পাগ্-সাম্-জোন্-ঋাং” এর লেখক অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে দেবপাল প্রকৃতপক্ষে তার পিতা ধর্মপাল কর্তৃক সোমপুরে বর্তমান পাহাড়পুর নির্মিত বিশাল বিহার ও সুউচ্চ মন্দিরের উল্লেখ করেছেন। সোমপুর বিহারের ভিক্ষুরা নালন্দা, বুদ্ধগয়া প্রভৃতি ভারতের বিভিন্ন প্রসিদ্ধ বৌদ্ধ তীর্থ স্থানে অর্থ ও ধন-রত্নাদি দান করতেন বলে বিভিন্ন লিপিতে যে উল্লেখ আছে তাতেও খ্রিষ্টীয় ১০স-১১শ শতাব্দে এই বিহারের সমৃদ্ধিশীল অবস্থার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কাজেই পালযুগের আগের ভাস্কর্য ও নানাপ্রকার লিপি ইত্যাদি এখানে আবিষ্কৃত হলেও একথা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে যে, পাহাড়পুরের মন্দির ও বিহার পাল রাজত্বের প্রথম যুগে খ্রিষ্টীয় ৮ম শতাব্দের শেষভাদে নির্মিত হয়েছিল।

খ্রিষ্টীয় ৯ম শতাব্দের শেষভাগে গুর্জররাজ প্রথম ভোজ ও মহেন্দ্রপাল পাল-সাম্রাজ্য আক্রমণ করে সাম্রাজ্যের বিশেষ ক্ষতি সাধন করেন। মহেন্দ্রপালের রাজত্বের পঞ্চম বৎসরে প্রদত্ত পাহাড়পুরে আবিষ্কৃত এক শিলালিপি এই গুর্জর আক্রমণের সত্যতা প্রমাণ করে। পালবংশীয় রাজা মহীপাল কর্তৃক খ্রিষ্টীয় ১০ম শতাব্দের শেষভাগে দ্বিতীয় পাল সম্রাজ্য স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গেই সাম্রাজ্যের পুর্বগৌরব ফিরে আসে। কিন্তু মহীপাল ও তার পুত্র নরপালের মৃত্যুর পর আবার পালবংশের পতন শুরু হয় এবং এই সুযোগে মধ্যভারতের চেদীরাজ কর্ণ চোলরাজ রাজেন্দ্র ও দিব্বো নামে এ দেশীয় এক কৈবর্ত সামন্ত নরপতি পর পর বাংলাদেশ আক্রমণ করেন। নালন্দায় প্রাপ্ত লিপিতে পাহাড়পুরের মন্দির ও বিহার ধ্বংসের যে উল্লেখ আছে মনে হয় এই বিদেশী আক্রমণের যুগেই তা সংঘটিত হয়েছিল। এরপর খ্রিষ্টীয় ১১শ শতাব্দের শেষভাগে রামপাল স্বীয় প্রচেষ্টায় এক স্থায়ী পালরাজ্য প্রতিষ্ঠা করে নিজ বংশের ভাগ্য পরিবর্তন করেন। খ্রিষ্টীয় ১২শ শতাব্দে বাংলাদেশ সেনবংশ নামে নতুন এক হিন্দু রাজবংশের করতলগত হয়। সেন রাজারা ব্রাহ্মণ্য ধর্মের গোড়া সমর্থক ছিলেন। ফলে তাদের আমলে সমস্ত রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা হারিয়ে পাহাড়পুরের বৌদ্ধ মন্দির ও বিহার ক্রমে ক্রমে ধ্বংসের পথে এগিয়ে যায়।

খ্রিষ্টীয় ১৩শ শতাব্দের প্রারম্ভে মুসলমানগণ ইখতিয়ার উদ্দীন মুহম্মদ-বিন বখতিয়ার খিলজীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আক্রমণ করেন এবং প্রায় সমস্ত উত্তর বঙ্গই অধিকার করেন। খুব সম্ভব আক্রমণকারী এই মুসলমান সৈন্যদের মূর্তিবিরোধী মনোভাবের ফলেই বিধর্মী বৌদ্ধদের এই বিশাল মন্দির ও বিহার সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়। পাহাড়পুর বিহারের বহির্দেশে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে পরবর্তী যুগে নির্মিত একটি মন্দির আবিষ্কৃত হয়েছে। তার গাথুনিতে চুনের ব্যবহার করা হয়েছে এবং কয়েকটি ইটে গোলাপ প্রতিকৃতির চিত্রও আছে। এই সমস্ত খ্রিষ্টীয় ১৫শ-১৬শ শতাব্দের নিদর্শন।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার নওগাঁ-বদলগাছী-জয়পুরহাট রোডে অবস্থিত। এটি পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদ (পাহাড়পুর বাজার) হতে পাহাড়পুর গ্রাম ও মালঞ্চা গ্রামের মাঝ বরাবর অতিক্রম করেছে। নওগাঁ জেলা শহর হতে প্রায় ৩৫ কি.মি উত্তরে ও জয়পুরহাট জেলা শহর হতে প্রায় ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে পাহাড়পুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামে বিহারটি অবস্থিত।
ঢাকা থেকে পাহারপুর বিহারে যেতে আপনি গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে এসি/নন এসি বাসে চড়ে সরাসরি নওগাঁ যাবেন, সেখান থেকে শহরের বালুডাঙা বাস টার্মিনাল গিয়ে বাসে কিংবা সিএজিতে চড়ে বদলগাছী হয়ে পাহাড়পুর যেতে পারেন। এছাড়াও ঢাকা কল্যানপুর ও গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন সকালে হানিফ পরিবহনের বাসে চড়ে সরাসরি ঢাকা টু বদলগাছী চলে যেতে পারেন। এছাড়াও, জয়পুরহাট জেলার জামালগঞ্জ রেল স্টেশন থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থিত। জয়পুরহাট জেলার জামালগঞ্জ রেল স্টেশন থেকেও পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার যাওয়া সম্ভব, যা স্টেশন থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এছাড়াও জয়পুরহাট জেলার বাসষ্ট্যান্ড হতে খঞ্জনপুর দূর্গাদহ বাজার হয়ে পাহাড়পুর বাজার পৌছে, সেখান হতে ২ কি: মি: রাস্তায় সিএনজি, অটোরিক্সা কিংবা ভ্যান রিক্সা যোগে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার যাওয়া যায়। যে সমস্ত পর্যটক বাসে ভ্রমণ করতে চান না তারা বিমানে চড়ে রাজশাহী বিমান বন্দরে নেমে, মাইক্রো বা নিজস্ব পরিবহনে খুবই সহজে ও অল্প সময়ে রাজশাহী-নওগাঁ-বদলগাছী চলে যেতে পারেন।

দেশের জনপ্রিয় হানিফ, শ্যামলী, এসআর, ডিপজল সহ আরও অনেক বাস সার্ভিস চালু আছে ঢাকা টু নওগাঁ রোডে। ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল, যমুনা সেতু, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া হয়ে বাস পৌঁছে যাবে নওগাঁ শহরে। যারা ট্রেনে যাতায়ত করতে ভালবাসেন তাদের জন্যও রয়েছে নওগাঁ যাওয়ার সুব্যবস্থা। নওগাঁ শহরের অদূরেই বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন এবং বৃহত্তম রেলজংশন শান্তাহার রেলজংশন অবস্থিত। চাইলে বাংলাদেশের মোটামুটি যেকোন প্রান্ত থেকেই শান্তাহারগামী ট্রেনে চড়ে সোজা চলে আসতে পারেন নওগাঁ শহরে। শান্তাহার থেকে নওগাঁ যেতে আধ ঘণ্টার বেশি লাগেনা। ছোট যমুনার কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা নওগাঁ শহর হিসাবে অত্যন্ত ছিমছাম ও নিরিবিলি। শহরে থেকে খুব সহজেই পাহাড়পুর চলে যাওয়া যায়। দল বেঁধে গেলে মাইক্রবাস ভাড়া করে যেতে পারেন সময় লাগবে মোটামুটি ১ ঘণ্টার মত। ভাড়া নেবে ১৫০০-২০০০ এর মত, তবে চালকের সাথে আলোচনা করে ভাড়া কম-বেশী করে নিতে পারেন।
ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের জন্য পাহাড়পুর ছাড়াও নওগাঁ জেলায় আরও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসুদের জন্য তাই শুধু পাহাড়পুর ছাড়াও শুধু নওগাঁ শহরে একদিন কাটিয়ে আসলে মন্দ হবেনা। যেহেতু শহর থেকে পাহাড়পুর মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্ব চাইলেই নওগাঁ শহরের যেকোন হোটেল রেস্ট হাউজে উঠতে পারেন। যদি কেউ খুব অল্প সময়েরর জন্য যেতে চান এবং সাইটেই রাত কাটাতে চান তাদের জন্য আদর্শ হতে পারে পাহাড়পুর প্রত্নতত্ত্ব রেস্ট হাউস। মূল সংরক্ষিত এলাকার মধ্যেই ছোট্ট পরিসরে প্রত্নত্তত্ব অধিদপ্তরের এই রেস্ট হাউস বুকিং করে রাখতে পারেন।
জাদুঘর বন্ধ ও খোলা থাকার সূচি দেওয়া হলঃ
১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর
খোলা থাকবে সোম থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০:০০ থেকে বিকেল ৬:০০ পর্যন্ত। মাঝখানে দুপুরের খাবাবের বিরতি দুপুর ১:০০ থেকে দুপুর ২:০০ পর্যন্ত। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা। দুপুরের খাবার ও জুম্মার নামাজের বিরতি (দুপুর ১২:৩০ থেকে দুপুর ২:৩০)
১ অক্টোবর থেকে ৩০ মার্চ
খোলা থাকবে সোম থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। মাঝখানে দুপুরের খাবাবের বিরতি দুপুর ১:০০ থেকে দুপুর ২:০০ পর্যন্ত। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা। দুপুরের খাবার ও জুম্মার নামাজের বিরতি (দুপুর ১২:৩০ থেকে দুপুর ২:৩০)
রমজানে সময়সুচি
রমজানে শুক্রবার ব্যতীত বাকি দিনগুলোতে সকাল ১০:০০ থেকে বিকেল ৪:০০ পর্যন্ত খোলা থাকবে।
শনি ও রবিবার মিউজিয়ামের সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এছাড়া সরকার ঘোষিত যেকোন ছুটির দিনে বন্ধ থাকবে মিউজিয়াম।
তাহলে আর দেরি নয়, সামনের কোন এক ছুটিতে সপরিবারে কিংবা বন্ধুরা মিলে ঘুরে আসুন সহস্র বছর আগের স্মৃতিবিজড়িতসোমপুর বিহার তথা পাহাড়পুর বিহার থেকে।

 

আরো পড়ুন