পোরশার আমে ভাগ্য বদল কৃষকের

19

ডিএম রাশেদ, পোরশা, নওগাঁ
নওগাঁর পোরশায়, আম বদলে দিয়েছে উপজেলার কৃষকদের ভাগ্য। আগে ধান ছিল এ উপজেলার প্রধান ফসল। এখন আম হছে এখানকার প্রধান অর্থকারী ফসল। এখানে ধানের তুলনায় আমে প্রচুর টাকা আয় হচ্ছে। তাই এ উপজেলার কৃষকরা আবাদী জমিতে আম গাছ রোপণে ঝুঁকে পড়ছেন এবং আম গাছের নীচে বিভিন্ন প্রজাতির ফসলের চাষাবাদও করতে পারছেন কৃষকরা। ফলে এখানকার কৃষকদের আয়ের উৎস বেড়ে গেছে।
জানা যায়, পোরশা উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে গত ২৫ বছর আগে থেকে আমগাছ রোপণ করা শুরু হলেও  ২০০৫ সাল থেকে এ উপজেলার কৃষকরা ব্যাপকভাবে আম গাছ রোপণ করা শুরু করেন।
কৃষকদের তথ্য মতে এখন ১ বিঘা (৩৩শতক) জমিতে ধান চাষে আয় হয় ২০হাজার টাকা। খরচ হয় প্রায় ১৫হাজার টাকা। ধান চাষে লাভ হয় মাত্র ৫হাজার টাকা। আর আম ১বিঘা (৩৩শতক) জমিতে বড় গাছ রোপণ করা যায় প্রায় ২০পিছ। আমরূপালী গাছ হলে বিঘাপ্রতি প্রায় ১শ ৫০পিছ। প্রতি বিঘা আমের বাগানে খরচ বাদে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় হচ্ছে। তাই এ উপজেলার কৃষকরা ধান বাদ দিয়ে আমের চাষে ঝুকছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, পোরশা উপজেলায় মালিকানাধীন জমির পরিমান প্রায় ৫০হাজার একর। এর মধ্যে আমের বাগান তৈরি হয়েছে প্রায় ১১হাজার হেক্টর জমিতে। তবে আম চাষীদের হিসাব মতে, পোরশা উপজেলার মোট জমির পরিমানের প্রায় অর্ধেকের বেশি জমিতে ছোট, বড়, মাঝারিসহ সকল সাইজের আম গাছ রোপণ করা হয়েছে। আম গাছ রোপণ করাকে ঘিরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে অনেক নার্সারী। যারা আম চাষে আগ্রহী তারা নার্সারী থেকে গাছ কিনে এনে জমিতে রোপন করছেন।
কয়েকজন নার্সারী মালিক জানান, পোরশা উপজেলায় আমের মধ্যে ল্যাংরা, খিরসাপাত, গোপালভোগ, লখনা, আশ্বিনা, ফজলি, আমরূপালী, বারি-৩, বারি-৪, কার্টিমনসহ বেশ কয়েক জাতের আম গাছ রোপণ করছেন আম চাষীরা।